মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : এপ্রোচ সড়ক তৈরীর কাজ চলছে এখনও। এর মধ্যেই যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত নতুন সেতু। এপ্রোচ কাজের রোলার আর সাধারণ যানবাহন চলছে পাশাপাশি। এই দৃশ্য দেখা গেছে আজ সকালে। এ অবস্থাতেই শনিবার রাত ৮টায় সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শামীম আল মামুন চলাচলের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে সেতু খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ১০ জুলাই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হবে। তবে সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হতে আরও ৬ মাস সময় লাগবে।
পুরাতন সেতুটি খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় নির্মাণাধীন নতুন সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে করা হয়। অবকাঠামোগত কাজ এগিয়ে আনা হয় এক মাস। সর্বশেষ ৪০০ মিটারের একটি স্ল্যাব ঢালাইয়ের পর তা কয়েক ঘন্টায় যাতে জমাট বাধে সেজন্যে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের কেমিকেল (এ্যাডমিকচার)। এরসঙ্গে বেশী পরিমাণ সিমেন্টও দেয়া হয়। এভাবেই দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হয়।
সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা প্রথমে জানিয়েছিলেন জুলাই মাসের শেষ দিকে যানবাহন চলাচলের জন্যে এই সেতু খুলে দেয়া হবে। গত ১৮ই জুন পুরাতন সেতুর একটি অংশ ভেঙ্গে পড়লে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এক সপ্তাহ ধরে ভাঙ্গা অংশে নতুন বেইলী স্থাপনের কাজ চলতে থাকার মধ্যে ৬ দিনের মাথায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হলে বেইলী স্থাপনের কাজও রাতারাতি শেষ করতে সক্ষম হয় সওজ । সংস্কার কাজের জন্যে ভারী ও মাঝারী ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয় পুরাতন সেতুর ওপর দিয়ে। পাশাপাশি অপর বেইলীটি হালকা যানবাহন চলাচলের জন্যে খোলা রাখা হয়।
কিন্তু উপবন দুর্ঘটনার পর এই বেইলী সেতুটিও একইসঙ্গে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয়। নতুন বেইলী স্থাপনের পর শুধু যাত্রী নামিয়ে বাস চলতে দেয়া হবে আর ট্রাক চলবে বিকল্প সড়কপথে- সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এমনটি জানালেও পরে তারা সেই কথাও ঠিক রাখতে পারেননি। ওভারলোডেড ট্রাক-বাস চলতে শুরু করে সমানে। তবে পুরাতন সেতুতে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকায় ম্যাজিক গতিতে নতুন সেতুর কাজ করতে শুরু করে।
২৫৪ মিটার দীর্ঘ আর ১৬ মিটার প্রস্তের নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫৯ কোটি টাকা।